বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন
ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
চট্টগ্রামে করোনা পরীক্ষার কিটের আকাল লেগেই আছে। বর্তমানে পরস্পর থেকে ধার করে কাজ চালাচ্ছে ল্যাবগুলো। এতে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কমে গেছে। এমনিতে নমুনা জটে রিপোর্ট পেতে ১০-১২ দিন লাগছে। এখন কিট সংকটে জট আরও বাড়াবে। দ্রুত স্থায়ী সমাধান না হলে জেলায় সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তবে ল্যাব প্রধানরা জানিয়েছেন, ঢাকায় চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবারের মধ্যে কিট এসে গেলে সংকট কেটে যাবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, কিট সংকটে চট্টগ্রামে পরীক্ষা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। গত শনিবার পরীক্ষা হয়েছে ৫৯০টি, পজিটিভ এসেছে ৬৪ জনের। আগের দিন শুক্রবার ৮৯০ ও বৃহস্পতিবার ১ হাজার ৯৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল। নগরীর চারটি সরকারি ও বেসরকারি দুটি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। বর্তমানে কিট সংকটে সরকারি বিআইটিআইডি, চমেক ও সিভাসু ল্যাবে পরীক্ষা বন্ধ হতে বসেছে। কিটের চাহিদাপত্র পাঠানোর পর তিনটি ল্যাবের প্রতিনিধিরা ঢাকা গেছেন। কোনো কারণে আজ কিট চট্টগ্রামে না পৌঁছলে মঙ্গলবার থেকে পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ল্যাব সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রামে গত ২৬ মার্চ থেকে করোনা শনাক্তে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। মধ্য এপ্রিলে দুবার এবং জুনেও একাধিকবার এ অবস্থা হয়েছে। তবে প্রত্যেকবারই শেষ মুহূর্তে প্রতিনিধিরা কিট আনতে ঢাকা যান। এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
চট্টগ্রাম জনস্বাস্থ্য অধিকার রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে নৈরাজ্যের কারণে মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছে। কেন বারবার শেষ দিনে কিট আনতে হচ্ছে? এর পেছনে নিশ্চয় সিন্ডিকেট রয়েছে। এখন পরীক্ষা বাড়ানোর পাশাপাশি কিট সংকটের স্থায়ী সমাধান করতে হবে। তা না হলে আক্রান্তরা নিজের অজান্তেই সংক্রমণ ভয়াবহ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে।’
বিআইটিআইডি ল্যাব প্রধান ডা. শাকিল আহমেদ বলেন, ‘আমাদের ল্যাবের কিট গত শনিবার শেষ হয়। আজ (গতকাল) ১০০টি ধার করি। কিটের অভাবে পরীক্ষাও কম করতে হচ্ছে। ঢাকায় লোক পাঠিয়েছি, আশা করছি, সংকট কেটে যাবে।’
সিভাসু ল্যাব প্রধান অধ্যাপক ড. জুনায়েদ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমাদের ল্যাবে যে কিট আছে, তাতে টেনেটুনে রবিবার চলেছে। সোমবার সকালে কিট পাওয়ার কথা। না পেলে ল্যাব বন্ধ রাখতে হবে।’
এ বিষয়ে চমেক ল্যাব প্রধান ডা. এহসানুল হক কাজল বলেন, ‘মাঝেমধ্যেই কিট সংকটে পরীক্ষা ব্যাহত হচ্ছে। আজ (গতকাল) অনেক কম নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। কিট না এলে সত্যিই বিপদে পড়তে হবে।’
এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কভিড-১৯ টেস্টিং ল্যাবের ইনচার্জ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘গত শনিবার পরীক্ষা কম হয়েছে। রবিবারও মাত্র ১৮৯টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। কিটের বিষয়ে ঢাকায় জানানো হয়েছে।’
ভয়েস/আআ